সংবিধান দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী- কি লিখলেন তিনি
২৬ নভেম্বর, সংবিধান দিবস উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে এক বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বর্ষে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং কর্তব্যবোধের গুরুত্বকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিলেন।
রাজনীতি
নিতীশ কুমার মণ্ডল
11/26/20251 min read


সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বর্ষে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং কর্তব্যবোধের গুরুত্বকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ই-মেইল মারফৎ ২৬ নভেম্বর, সংবিধান দিবস উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে এক বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
২০১৫ সালে এনডিএ সরকারের উদ্যোগে ২৬ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান দিবস ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনেই গণপরিষদে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় — যে নথি স্বাধীন ভারতের যাত্রাপথ নির্ধারণ করেছে। নিজের উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, সংবিধানই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা একজন মানুষকে দেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে সংসদ প্রাঙ্গণে তাঁর ব্যক্তিগত আবেগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সংবিধান তাঁর মতো অসংখ্য ভারতীয়কে স্বপ্ন দেখার ও তা বাস্তবায়নের শক্তি জুগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গণপরিষদের সদস্যদের অবদানও গভীরভাবে স্মরণ করেন। তিনি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন কমিটির প্রধান বাবাসাহেব ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের ভূমিকাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, সংবিধান প্রণয়নে মহিলা সদস্যদের অবদানকেও তিনি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন। মোদি জানান, ২০১০ সালে সংবিধানের ৬০ বছর পূর্তিতে গুজরাটে ‘সংবিধান গৌরব যাত্রা’-র আয়োজন করা হয়েছিল। আর ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশজুড়ে বিশেষ অধিবেশনের মতো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপন করা হয়েছে।
এ বছরের সংবিধান দিবসকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। তিনি সর্দার প্যাটেলের রাজনৈতিক ঐক্য রক্ষার ভূমিকা এবং ভগবান বিরসা মুন্ডার ন্যায়বিচার ও মর্যাদার লড়াইকে জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর এবং গুরু তেগ বাহাদুরজির ৩৫০তম আত্মবলিদান বার্ষিকীকেও তিনি স্মরণ করেন।
কর্তব্যবোধের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৫১(ক) ধারায় উল্লিখিত মৌলিক দায়িত্ব দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির পথে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। মহাত্মা গান্ধীর ভাবধারা উদ্ধৃত করে তিনি জানান, অধিকার তখনই অর্থপূর্ণ যখন নাগরিকরা কর্তব্য পালন করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই দশকের সিদ্ধান্তই ২০৪৯ সালে সংবিধানের ১০০ বছর পূর্তির সময় ভারতের অবস্থান নির্ধারণ করবে। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে প্রতিটি নাগরিককে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভোটাধিকারের প্রসঙ্গেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রস্তাব দেন, প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর বিদ্যালয়-কলেজে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নতুন ভোটারদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (Special Intensive Revision 2.0)।



